টেকনাফে এক রাতে লাশ হলেন ৪ মাদক কারবারী

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑
টেকনাফে বিজিবির সাথে গোলাগুলিতে অজ্ঞাতনামা তিন মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১লক্ষ ৮০ হাজার ইয়াবা, ২টি অস্ত্র, ৩ রাউন্ড কার্তুজ,একটি ধারালো কিরিচ।

বিজিবি তথ্য সূত্রে জানা যায়,২৭ মার্চ রাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে বিজিবি জানতে পারে মাদক পাচারের ঘাঁটি হিসাবে খ্যাত হ্নীলা ইউনিয়ন লেদা নাফনদী সংলগ্ন ছুরিখাল এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করবে। সেই গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী গভীর রাত ১২টার দিকে সীমান্ত প্রহরী বিজিবির একটি চৌকষ দল উক্ত এলাকায় অবস্থান নেয়।

এরপর অন্ধকারের মধ্যে ৪/৫ জন লোক একটি নৌকা নিয়ে নাফনদী পার হয়ে ছুরিখাল এলাকায় প্রবেশ করতে দেখে বিজিবি তাদের চ্যালেন্জ করে দাঁড়ানোর সংকেত দেয়। মাদক কারবারীরা বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে নৌকা থেকে লাপ দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি তাদের ধাওয়া করলে তারা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষন শুরু করে।

এতে বিজিবি তিন সদস্য আহত হয়। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে সরকারী সম্পদ রক্ষা করার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৫/৬ মিনিট গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার পর ঘটনাস্থল থেকে বিজিবি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাতনামা তিন যুবককে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রেফার করে। এরপর কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার তাদের তিন জনকে মৃত ঘোষনা করে।

এদিকে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৫ কোটি,৪০ লক্ষ টাকা মুল্যের ১লক্ষ,৮০ হাজার ইয়াবা,দেশীয় তৈরী ২টি বন্দুক,৩ রাউন্ড কার্তুজ,১টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ ফয়সল হাসান খাঁন (পিএসসি)। তিনি জানান, বিজিবির সাথে গোলাগুলিতে নিহত হওয়া তিন ব্যাক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো বলেন,করোনা ভাইরাস নিয়ে যখন সারাদেশের মানুষ আতংকের মধ্যে থাকলেও মাদক পাচারে জড়িত অপরাধীরা নির্ভয়ে তাদের অপকর্ম অব্যাহত রাখার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের সেই অপচেষ্টা প্রতিরোধ ও মাদক কারবারীদের নির্মুল করার জন্য সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে।

অপর দিকে ২৮ মার্চ (শনিবার) দিবাগত একই রাতে টেকনাফ উপজেলার আওতাদ্বীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের অন্তর্গত তুলাতলী এলাকায় থানা পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মুসা আকবর নামে আরো এক মাদক কারবারী নিহত হয়েছে।
উক্ত ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়।

ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৬ হাজার ইয়াবা,৩ রাউন্ড কার্তুজ,৬ রাউন্ড কার্তুজের খালিখোসা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

এই অভিযানে সত্যতা নিশ্চিত করে (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, মাদক কারবারে জড়িত অনেক অপরাধী তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যার্থ অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

সেই সমস্ত মাদক কারবারীদের নির্মুল করার জন্য পুলিশ সদস্যদের মাদক বিরোধী চলমান এই যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।